ইসলামের আলোকে সময়ের বরকত ও কিয়ামতের লক্ষণ: নবী করিম (সা.) এর নির্দেশনা এবং বর্তমান সমাজের চিত্র
ইসলামের চোখে সময়ের ব্যবস্থাপনা শুধু ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, বরং আত্মিক এবং সামাজিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবী করিম (সা.) এর বিভিন্ন হাদিসে কিয়ামতের পূর্বের সংকীর্ণ সময়ের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং এ সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) এর মত অনুযায়ী, সময়ের সংকীর্ণতা কিয়ামতের অতি নিকটবর্তী লক্ষণ। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী, যুবক বয়সকে ইবাদতে নিয়োজিত করা, সুস্থতার সময়কে আল্লাহর কাছে আরো বেশি প্রিয় করতে হবে এবং জীবনকে মূল্যায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমান যুগে, সময়ের সংকীর্ণতা ও কম বরকতের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সময়ের অপব্যবহার, নৈতিকতা এবং ধর্মীয় চেতনার অভাব, এবং অপ্রয়োজনীয় সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের জীবনযাপন বিধ্বস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন হাদিসে নবী করিম (সা.) উপদেশ দিয়েছেন কিভাবে এই সময় সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আমাদের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং বরকত ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবারের ইসলামিক শিক্ষা ও হাদিস অনুযায়ী, সময়ের বরকত ফিরিয়ে আনতে আমাদের জীবনযাপনের প্রতিটি দিককে ঠিক করতে হবে। এ সময়, আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যস্ততার আগে অবসর সময়কে কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত করা এবং দারিদ্র্য থেকে দূরে সরে নিরাপদ সম্পদের দিকে অগ্রসর হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সময়ের অপচয় ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের প্রতি ক্ষুধা কমাতে হবে, যেন এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে। এই সময়ের সংকীর্ণতা কিয়ামতের লক্ষণ হলেও, এর প্রতি আমাদের সচেতন হয়ে ইসলামের নির্দেশনায় জীবন পরিচালনা করা উচিত।
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ ৫:৩১ PM