ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল জারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আশরাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, “পোষ্য কোটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক। পাশাপাশি, খেলোয়াড় কোটায়ও অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সুযোগ রয়েছে।” তিনি আরও জানান, সম্প্রতি পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। এর আগে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ প্রদান করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসহ ১০ ব্যক্তি ও আইনজীবীর পক্ষে এই রিট দায়ের করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এবং রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছিল, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় মেধার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার মতো বিধানগুলো বৈষম্যমূলক এবং সাংবিধানিক রীতিনীতির পরিপন্থি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা তুলে ধরে বলা হয়, "এই প্রতিষ্ঠানকে মেধার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর উন্নতির জন্য কোটা রাখা যায়, তবে পোষ্য বা খেলোয়াড় কোটা সেই মানদণ্ড পূরণ করে না।"
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ ৪:২৮ PM