দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির পথে ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদী নীতি
দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, আর এর মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদী নীতি। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব মনোভাব সংকীর্ণ। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইন্ডিয়ার ক্রমাগত হস্তক্ষেপ এবং তাদের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার প্রবণতা আঞ্চলিক সহযোগিতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা যেমন প্রশংসার যোগ্য, তেমনি তার অভ্যন্তরীণ বৈষম্য এবং বর্ণভিত্তিক বিভাজন দেশের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। ১৫% মুসলিমসহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ইন্ডিয়ার ভেতরেও বৈষম্যের শিকার। পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ অন্যান্য দেশের প্রতি ইন্ডিয়ার দাদাগিরি কৌশল প্রতিনিয়ত তাদের স্বার্থহানি ঘটাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে সিকিম দখল থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত ইন্ডিয়ার কার্যকলাপ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশে ইন্ডিয়া-সমর্থিত সরকার গঠন এবং টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা জনগণের মনে ইন্ডিয়ার প্রতি অনাস্থার সৃষ্টি করেছে। হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক ভারসাম্য ইন্ডিয়ার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১২:১৭ PM