ঢাকা | সোমবার, ২৩রা ডিসেম্বর ২০২৪

নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জন: কাপড় বা শরীরের নাপাকি দূর করার সহজ পদ্ধতি

নাপাকি দুটি প্রকারে বিভক্ত, একটি শক্ত (নাজাসাতে গলীযা) এবং অন্যটি হালকা (নাজাসাতে খফীফা)। নাপাকির ধরন এবং পরিমাণ অনুযায়ী পবিত্রতার পদ্ধতি আলাদা। বিশেষত, তরল বা গাঢ় নাপাকি কাপড় বা শরীরে লাগলে তা পবিত্র করার জন্য কীভাবে সঠিকভাবে ধোয়া যাবে তা জানতে হবে। নাজাসাতে গলীযা দুই ধরনের: প্রথমত, তরল নাপাকি (যেমন পেশাব, রক্ত, বীর্য) এবং দ্বিতীয়ত, গাঢ় নাপাকি (যেমন মল, পশুর পায়খানা)। যদি তরল নাপাকি এক দেরহাম (কাঁচা টাকার আকার) পরিমাণের কম হয়, তাহলে তা কাপড় বা শরীরে লাগলে নাপাক হবে না। এছাড়া, শক্ত নাপাকি এক সিকি (৪.৩৭ গ্রাম) পর্যন্ত হলে তা নাপাক হবে না। তবে, যদি নাপাকি দূর করা সম্ভব হয়, তবে তা নামাজের ক্ষেত্রে মাকরূহ তাহরীমী হবে। এছাড়া, নাজাসাতে খফীফা যদি শরীর বা কাপড়ে চার ভাগের এক ভাগের কম হয়, তাহলে তা কাপড় নাপাক করবে না। তবে, এ ধরনের নাপাকি যদি ধোয়া সম্ভব হয়, তবে তা নিয়ে নামাজ আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী হবে। কাপড় বা শরীরের গাঢ় নাপাকি যেমন রক্ত বা মল লেগে গেলে, তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেন নাপাকি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যায়। যদিও তিনবার ধোয়া জরুরি নয়, তবে একাধিকবার ধুলে পাক হয়ে যাবে। তরল নাপাকি, যেমন হায়যের রক্ত, যদি কাপড়ে লেগে যায়, তবে প্রথমে পানি দিয়ে ঘষে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এদিকে, হাদিস শরিফে এসেছে, "হায়যের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে।" (বুখারি ২২৭,৩০৭)

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১০:১৭ PM

আজকের সর্বশেষ