ফজরের আজান এবং রাসূল (সা.)-এর ওফাত: সাহাবাদের হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা
আজানের শব্দ যেন মসজিদে নববীর আঙিনায় থমকে গেল, যখন 'আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ' পর্যন্ত এসে বিলাল (রা.)-এর কণ্ঠ থেমে গিয়েছিল। চোখের অশ্রু এবং গলায় আটকে থাকা কান্না, মসজিদে নববীর এক ভয়ানক শোকের মুহূর্তের সূচনা করেছিল। রাসূল (সা.)-এর মৃত্যুর খবর যেন সাহাবাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। ফাতিমা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে আনাস (রা.)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, “তুমি কীভাবে রাসূল (সা.)-কে মাটিতে রেখে এসো?” পুরো মসজিদ তখন কাঁদছিল, আলী (রা.) মাটিতে পড়ে যান, উসমান (রা.) শিশুর মতো কাঁদতে থাকেন, এবং উমর (রা.) সবার সামনে বলেছিলেন, “যে বলবে রাসূল (সা.) মারা গেছেন, আমি তার মাথা ফেলে দেব।” সর্বশক্তিমান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা এই দুঃখজনক সংবাদটি সিদ্দীকে আকবর (রা.)-এর মুখে শোনার পর, তিনি মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে সবার সামনে বলেছিলেন, “হে মুসলমানরা, রাসূল (সা.) মারা গেছেন, কিন্তু আল্লাহ চিরকাল জীবন্ত, তাঁর মৃত্যু কখনো হবে না।” ১১ হিজরীর ১২ রবিউল আওয়াল, সোমবার, এই দিনটি ছিল মোমেন্টের এক গভীর শোকের দিন। রাসূল (সা.)-এর মৃত্যুর পর সাহাবাদের যে হৃদয়বিদারক প্রতিক্রিয়া ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সাহাবারা তখন নিজেদের আত্মাকে মাটি চাপা দিয়ে কাঁদছিলেন। রাসূল (সা.)-এর মৃত্যু ছিল সত্যিই মুসলমানদের জন্য এক অবর্ণনীয় বেদনা। সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর মাঝে গভীর শোক এবং কান্নার ভেতর দিয়ে এক মহান জীবন থেকে বিদায় নেওয়ার এই দুঃখময় মুহূর্তটি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ এ ৯:৫৭ PM