ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান: ধর্ম, আধুনিকতা এবং বৈচিত্র্যের সেতুবন্ধন
ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান, "Undang-Undang Dasar Negara Republik Indonesia (UUD 1945)", দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা অর্জনের পর গৃহীত এই সংবিধান প্রমাণ করে, কিভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং আধুনিকতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা যায়। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শরিয়া আইন প্রণয়ন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নীতি হিসেবে স্বীকৃত, যা কেন্দ্রীয় সংবিধানের অধীন পরিচালিত হয়। আচেহের শরিয়া আইন অনুযায়ী, মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ, শালীন পোশাক বাধ্যতামূলক, এবং বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার সংবিধানের ২৯-(খ) ধারা সব ধর্মের মানুষকে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক, যা ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৩৩ এবং ৩৪তম ধারা অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিশ্চিত করে। ইন্দোনেশিয়া আধুনিকতা এবং ধর্মীয় বৈচিত্র্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ এ ২:০১ PM