শীত আসন্ন, কিভাবে শিশুর যত্ন নেবেন এই ঠান্ডার সময়ে
শীতের আগমনী বার্তায় প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। রাতের আকাশে হিমেল হাওয়া, সকালে শিশিরের স্পর্শ। এই ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শিশুরা এই সময় বেশি আক্রান্ত হয়। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে আপনার সন্তানকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। গোসলের আগে বা পরে ভালো মানের বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, যেমন কমলালেবু, আমলকী খাওয়ানো উচিত। ভোরের দিকে ঠান্ডা বেশি থাকে, তাই ফ্যানের গতি কমিয়ে শিশুর গায়ে চাদর দিয়ে রাখুন। জানালা বন্ধ রাখুন এবং সূর্যের আলো উঠলে খুলে দিন। যারা সকালে স্কুলে যায়, তাদের গলায় স্কার্ফ ব্যবহার করলে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। শীতকালীন সবজি, যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি ছোটদের পেটের সমস্যা করতে পারে। এই ধরনের সবজি খাওয়ানোর আগে সতর্ক থাকুন। বমি বা ডায়রিয়া হলে ওআরএস খাওয়ান এবং অবস্থা না কমলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। যদি শিশুর ঠান্ডা বা হাঁপানির সমস্যা থাকে, তবে ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করাতে পারেন। ঠান্ডাজনিত জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ দেবেন না এবং জ্বর না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাচ্চাদের রাতে মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। তাদের সুস্থ রাখতে এই সময় সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১:৪৮ PM