ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় সিলেটের কানাইঘাট
সিলেটের কানাইঘাটে ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে হতভাগ্য বাবা শামীম আহমদ ও এলাকাবাসীসহ সারা দেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। মুনতাহাকে হত্যা করেছে তারই সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, যা প্রকাশিত হওয়ার পর জনতার উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, তারা ঘাতকের ঘর ভেঙে ফেলে এবং ঘরের আসবাবপত্র ধ্বংস করে। ঘটনার বিবরণ: গত ৩ নভেম্বর, শিশুটি বাবা শামীম আহমদের সঙ্গে একটি ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে। জোহরের নামাজের সময় বাবা তাকে বাসায় রেখে মসজিদে চলে যান। তখন মুনতাহা দুটি সবুজ আপেল নিয়ে ঘর থেকে বের হয়, তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক সপ্তাহ পর, রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার বাড়ি থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া: মুনতাহার কথা স্মরণ করতে গিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল ওয়াহিদ আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, "মুনতাহা প্রতিদিনই আমার বাসায় আসতো। এমন নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।" বাবার শোকবিহ্বল অনুভূতি: মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, “আমি এক হতভাগ্য বাবা। আমার মেয়েকে এমন নির্মমভাবে খুন করা হবে, তা কখনও কল্পনা করিনি। আমার মেয়ে যেভাবে সারাদেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।” গ্রেপ্তার এবং মামলার অগ্রগতি: মুনতাহার খুনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫), মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)। আদালত সোমবার (১১ নভেম্বর) তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১২:০৭ PM