অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাসে অর্জন ও চ্যালেঞ্জ
গত তিন মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেইসঙ্গে বিভিন্ন সাফল্যও অর্জন করেছে। এই সাফল্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ভঙ্গুর অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধের জন্য তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে, যেমন—মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর তদন্ত করা। শিক্ষা খাতেও নতুন নিয়োগ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম চলছে, যদিও এখনো কিছু পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আর্থিক খাতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের পুনর্গঠন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা সুশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পুরোনো বিতর্কিত আইন বাতিল এবং নবায়নযোগ্য প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়েছে, যা এই খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে, সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের প্রভাব সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব হয়নি, এবং কয়েকটি নীতিগত পদক্ষেপে ধীরগতি রয়েছে বলে সমালোচনা উঠেছে। বিদেশ নীতিতেও প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি। এত চ্যালেঞ্জের মধ্যে তিন মাসের এই অগ্রগতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো বিরোধী নেতারা একে কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের পাঁচ দফা দাবি পূরণে আংশিক সফল হয়েছে এবং তাদের মধ্যেও নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কিছু সমালোচনা তৈরি হয়েছে। মোটাদাগে, এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি প্রতিকূল অবস্থায় কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছে এবং আগামীতে আরও স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর, ২০২৪ এ ৭:০৯ PM