দাপুটে এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বেহাতির অভিযোগ: ক্ষমতার অপব্যবহারে আলোচিত!
ফুটবল মাঠের এক সময়ের তারকা আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি হওয়ার পর রাজনীতিতে ব্যাপক ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। খুলনার নির্বাচনি এলাকায় তিনি অনেক অরাজকতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, যার ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে লিপ্ত হয়ে এমপি লীগ গঠন করেছেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ রয়েছে, তার কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। এমপি হওয়ার পর তার সম্পদ বেড়েছে ১৮ গুণ! ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২ লাখ টাকায়। এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে এসব তথ্য উল্লেখ করেন। তার স্ত্রী শারমিন সালামেরও সম্পদ বেড়ে ১৮ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, সেবা সংঘের নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগও রয়েছে। সংসদীয় এলাকায় সেবা সংঘ ও ব্লাড ব্যাংকের নামে কয়েকটি সংগঠন তৈরি করে মুর্শেদী অর্থ আদায় করেন। স্থানীয় ট্রলার চালক সমিতির মাধ্যমে প্রতিদিন টাকা জমা হত তার নামে। ২০২২ সালে ঘর নির্মাণের প্রকল্পে বড় জালিয়াতির অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। সাবেক এমপি মুর্শেদীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ লোপাট করেছেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ বিতরণের ক্ষেত্রেও তার স্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। এমপি মুর্শেদী এখন কারাগারে, আর তার স্ত্রী পলাতক। এই বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার মানুষ এখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন।
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ এ ৯:৫০ AM