সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর আওতাধীন ১২টি গ্যাসকূপের মধ্যে সম্প্রতি ১০ নম্বর কূপ খননের সময় গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই কূপে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে, যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই এলাকায় প্রায় ১৫-২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত রয়েছে। এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গ্যাস উত্তোলনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগিরই এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এদিকে, তেলের জন্য আরেকটি কূপ খননের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নতুন কূপ খননের লক্ষ্যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা এবং প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেছেন, “বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সম্ভাবনা আছে, তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি।” ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সিলেটে আবিষ্কৃত দেশের প্রথম তেল কূপ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো সক্রিয় তেল কূপ নেই, অথচ বছরে ৭২ লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান আরও জানান, “গ্যাসের পর আমরা তেলের কূপে হাত দিচ্ছি। এখানে আশানুরূপ তেল পাওয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।” দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এই নতুন খনন কার্যক্রম একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।