লালদীঘি ময়দানে সনাতন সম্প্রদায়ের সমাবেশ: আট দফা দাবির লংমার্চের ঘোষণা
চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত সনাতন সম্প্রদায়ের বিশাল সমাবেশে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল। সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার দিকে লংমার্চেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রধান বক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রাক্ষ্মচারী বলেন, "আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। এটি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়; আমাদের দাবি হল সব নাগরিকের মধ্যে সমান মর্যাদা ও অসাম্প্রদায়িকতা।" তিনি জানান, আট দফা দাবির মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কাঞ্চন আচার্য বলেন, "গত ৫৩ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো বিচার হয়নি।" এর আগে ২০২১ সালে দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কুরআন পাওয়ার অভিযোগে দেশজুড়ে মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রাক্ষ্মচারী জানান, “আমরা এখন রাস্তায় নেমেছি কারণ আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। আমাদের দাবি আদায়ে সরকারের কাছে আমাদের কথা তুলে ধরতে হবে।” সমাবেশে বলা হয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সহিংসতার জন্য কমিশন হলেও আওয়ামী লীগ সরকার তাতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রতিবাদী এই সমাবেশের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। তাদের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার যথাযথভাবে রক্ষা করা হচ্ছে না। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, "আমরা সরকারকে বলছি, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ৫০০ মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় চাহিদা এবং অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে।" এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে যে কেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সনাতন সম্প্রদায় এতদিন নীরব ছিল। সমাবেশের ফলে তৈরি হওয়া জনমত এবং সরকারকে দায়বদ্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১০:৫৮ AM