ঢাকা | সোমবার, ২৩রা ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে পেপাল চালু হতে বাধা কোথায়?

বাংলাদেশে পেপাল চালুর অভাব বর্তমান ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা, কারণ বর্তমানে উপলব্ধ বিকল্প পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো, যেমন পেওনিয়ার, জুম এবং ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপালের জনপ্রিয়তা এবং সুবিধা থেকে অনেক দূরে। ঢাকার এক শিক্ষার্থী ও ফ্রিল্যান্সার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সম্প্রতি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করেছিলেন, কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে পেপাল না থাকার কারণে তাঁর প্রকল্পটি ব্যাহত হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক বাজারে ১৪% শেয়ার দখল করে রেখেছে। অথচ, পেপালের অভাবে অনেক ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসগুলোতে যথাযথভাবে কাজ করতে পারছেন না। কিছু মার্কেটপ্লেস একচেটিয়াভাবে পেপালের উপর নির্ভর করে, ফলে তাদের জন্য কাজের সুযোগ হারানোর পাশাপাশি বাড়তি খরচও হচ্ছে। মামুন বলেন, "আমরা বহু মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারি না, কারণ আমাদের পেপাল সুবিধা নেই।" পশ্চিমা দেশের ক্লায়েন্টরা সাধারণত পেপাল ব্যবহার করে থাকেন, ফলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক সম্ভাবনা আটকে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পেপাল চালুর বিষয়টি অনিশ্চিত হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগের অভাব এবং পেপালের আগ্রহের অভাব নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। পেপাল চালু হলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে আরও সহজে লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি দেশের অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা বৈশ্বিক প্রকল্পে যুক্ত হয়ে আরও বেশি উপার্জনের সুযোগ পাবে।

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ এ ৩:৩০ PM

আজকের সর্বশেষ