সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, রাজধানীতে ভোরের ঝটিকা মিছিল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুসারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেজেট জারি করেছে। হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, এবং টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও ভোরবেলায় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল করতে দেখা গেছে। রাজধানীর রাস্তায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে সন্ত্রাসী আইনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী ধানমন্ডির বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করে। মিছিলটি স্কয়ার হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, শুক্রাবাদ, এবং সোবহানবাগ ঘুরে শেষ হয়। নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও নেতৃত্ব মিছিলে অংশ নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, এবং কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেনসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এই মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণার পর সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয়। গেজেটের মূল কারণ সরকারের গেজেটে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল, বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, ধর্ষণ, এবং সশস্ত্র আক্রমণের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। গেজেটে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪-এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। আইনি ভিত্তিতে নিষিদ্ধকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তফসিল-২-এ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১০:০২ AM