হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিবের পদে মামুনুল হক: দ্বন্দ্ব, ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার লড়াই
ঢাকার সাতমসজিদ রোডে জামি’আ রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা ঘিরে চরম উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব চলছে, যেখানে ইসলামি বক্তা মাওলানা মামুনুল হক দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন। মরহুম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের কনিষ্ঠ পুত্র মামুনুল হক বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাকে ঘিরে নানা অভিযোগ এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। মামুনুল হক একদিকে ইসলামি বক্তৃতার মাধ্যমে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছেন, অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী এবং উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াচ্ছেন। তিনি সরকারের সহনশীলতার সুযোগ নিয়ে মাদ্রাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্ব ধরে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে, তিনি হেফাজতে ইসলামের ভেতরে জামায়াত-শিবিরের নেতাদের প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছেন। হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব নূর হোসেন কাসেমীকে ব্যবহার করে মামুনুল নিজের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করছেন। এমনকি বাবুনগরী ও কাসেমীকে সামনে রেখে তিনি নিজেকে হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদ্রাসা দখল ও ক্ষমতার লড়াই জামি’আ রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার দখল নিয়ে ওয়াকফ্ প্রশাসনের নোটিশ উপেক্ষা করে মামুনুল হক ও তার অনুসারীরা দখল বজায় রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, মামুনুল হক অন্য মাদ্রাসাগুলোকেও তার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে, শায়খুল হাদিসের বড় ছেলে মাওলানা মাহফুজুল হক বেফাকের মহাসচিব হওয়ার পর থেকে খেলাফত মজলিসের মহাসচিবের পদ ছেড়ে দেন, যা মামুনুল দখল করেন। মামুনুল হকের মুখোশ উন্মোচন: নীতির নামে বিভ্রান্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনুল হক নিজের ধর্মপরায়ণতার ছবি তুলে ধরলেও তার কর্মকাণ্ডে অসঙ্গতি স্পষ্ট। সরকারি অনুমোদন ছাড়া খেলাফত মজলিসের বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। পরে অনুমতি নিতে সরকারি দপ্তরে ধর্না দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন, যদিও অন্যদিকে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিয়ে নিজেকে বিপ্লবী হিসেবে তুলে ধরতে চান।
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর, ২০২৪ এ ৪:১৩ PM