নেত্রকোনায় বন্যার অবনতি, শেরপুর-ময়মনসিংহে উন্নতির ইঙ্গিত
নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। জেলার ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, এবং শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কলমাকান্দা ও উব্দাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে, পুকুরের মাছ ভেসে যাচ্ছে, আর কৃষিজমি তলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে, যেখানে ১১৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইমদাদুল হকের তথ্যমতে, দুর্গাপুরে ৬২টি, কলমাকান্দায় ৯৩টি, পূর্বধলাতে ১১টি এবং নেত্রকোনা সদরে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধাবাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে হালুয়াঘাট সদর, কইচাপুর ও নডাইল ইউনিয়নে পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও অবনতি দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, সর্বশেষ এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজবাড়ী জেলায় ভারী বর্ষণে বহু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে, ফলে চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, ও স্বেচ্ছাসেবী দল বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১:০৪ PM