ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ীতে বন্যায় প্লাবিত ১০০ গ্রাম, মৃত এক ব্যক্তি
শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে মহারশি নদীর বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লা খালি নদী প্লাবিত হয়ে আরও ৫০ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল এলাকায় ঢলের পানিতে ডুবে ইদ্রিস আলী (৬৫) নামে একজন মারা গেছেন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল মহারশি নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভীর রাত থেকেই নদীর বাঁধ ভেঙে যায় এবং পানি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঝিনাইগাতি সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রামে প্লাবন দেখা দিয়েছে। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিসসহ সরকারি স্থাপনায় পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর আমনের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং ১ হাজার হেক্টর সবজি আবাদ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানিয়েছেন, তারা পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করছেন এবং নদীর তীরবর্তী এলাকার আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এছাড়া শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হবে। তবে নালিতাবাড়ীর ৮টি ইউনিয়নের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১০:১০ AM