দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে আধুনিকায়নের কাজ শুরু
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর অবশেষে পাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত এই বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা রানওয়ে সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টেশন আধুনিকায়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানিয়েছেন, নতুন রানওয়ে, অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন এবং কার্গো বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি মূলত ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মহামারির কারণে কাজের ধীরগতি হওয়ায় তা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এই কারণে প্রকল্পের মোট ব্যয়ও কিছুটা বেড়েছে। আধুনিকায়নের ফলে একসঙ্গে তিনটি উড়োজাহাজ পার্কিং করতে পারবে এই বিমানবন্দরে, যেখানে বর্তমানে একটির বেশি উড়োজাহাজ নামতে বা উঠতে পারে না। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৬০০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ফুট এবং প্রস্থ ১০০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৫০ ফুট করা হচ্ছে। নতুন টার্মিনাল ভবনের আকার হবে ৩১ হাজার বর্গফুট, যার মধ্যে থাকবে আধুনিক চেক-ইন কাউন্টার, বিশাল কনকার্স হল, ডিপারচার ও অ্যারাইভাল লাউঞ্জ এবং একটি ভিআইপি লাউঞ্জ। শাহ মখদুম বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন ৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে, যা রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রীদের সেবা প্রদান করছে। আগামীতে বিমানবন্দরটির আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের জন্য বিমান সেবার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে। রাজশাহী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলারা পারভীন জানিয়েছেন, এই প্রকল্প শেষ হলে শাহ মখদুম বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাসমূহ প্রদান করতে সক্ষম হবে এবং এর ফলে যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর, ২০২৪ এ ২:৪৭ PM