অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত যশোর: শ্রমজীবী মানুষের জীবনে অভিশাপ
শরতের অবিরাম বর্ষণে ভিজে চলেছে যশোরের প্রকৃতি। গত দুইদিন ধরে কখনো প্রবল আবার কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, যা মানুষের জনজীবনে নিয়ে এসেছে বিপর্যয়। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের জন্য এই বৃষ্টি যেন একটি অভিশাপ। বৃষ্টির পানিতে ভিজে তারা কাজে নামছেন, অন্যদিকে অনেকেই বেকার সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। রিকশা চালানো, বোঝা টানা বা ফুটপাতে কিছু বিক্রি করা এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে। অফিসগামী চাকরিজীবী এবং শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে; বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল বা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। যশোরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে, এবং সড়কের কিছু অংশে বৃষ্টির পানি জমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের শঙ্কাও আছে। তবে শুক্রবার বৃষ্টি কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে, ঢাকায় বৃষ্টিপাত ছিল ৪৪ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয়, ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির কারণে সাগরে তিন নম্বর এবং নদীতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। যশোর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়ে গেছে। প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যেন তারা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ এ ১২:৫৭ PM